শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৮:৩২ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৮:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলাপাড়ায় তিনটি বাঁধ কেটে খাল উন্মুক্ত করায় খুশিতে আত্মহারা কৃষক

উত্তম কুমার : [২] দীর্ঘ ৬ বছর খাল থেকে এক কলস পানিও সংগ্রহ করতে পারিনি। এমনিকি চাষ করেতে পারিনি রবি শষ্য। স্থনীয় একটি চক্র খালে বাঁধ দিয়ে লবন পানি ঢুকিয়ে মাছ চাষ করায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খালটি উন্মুক্ত হওয়ায় কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে। এমন কথা বলেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে খালের তিন পয়েন্টের বাঁধ কেটে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় খালের পড়ে মাছের ঘের পাহাড়া দেয়ার একটি ঘড় গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন এ খালটির ওইসব বাঁধ কেটে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় খুশিতে আত্মহারা কৃষকসহ ভূক্তভেগীরা।

[৪] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সম্মুখ্যে বাদুরতলী খাল উন্মুক্তের দাবিতে বুধবার দুপুরে মানববন্ধনে দাঁড়ায় টিয়াখালী ইউনিয়নের শত শত কৃষক। জেলা প্রশাসক ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক-শ্রেনী) পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন পর্যালোচনা সংক্রান্ত মতবিনিয় সভা শেষে গাড়িতে উঠতেই চোখে পড়ে এসব কৃষকদের। এসময় তিনি তাদের কাছে গেলে কৃষকরা জানান দু:খ-দুর্দশার কথা। বিষয়টি শুনে জেলা প্রশাসক সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খালটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে উন্মুক্তের নির্দেশ দেয়।

[৫] খাল লাগোয়া কৃষক আবদুল খালেক হাওলাদার জানান, এ খালটি উন্মুক্ত হয়েছে। এখন থেকে কৃষকদের মিষ্টি পানির আরো কোন সমস্য হবেনা। চাষ করতে পারে রবিশষ্য। উপকৃত হবে খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

[৬] টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, এলাকার জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো খালটি উন্মুক্ত করা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাদুরতলী খালটির তিনটি বাঁধ অপসারণ করেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। এর ফলে জনগণের বড় একটি আশা পূরণ হয়েছে।

[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই খালটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সকল সরকারী খাল যেনো দখল না হয় সেদিকে দৃষ্টি থাকবে বলে তিনি সাংবাদকদের জানিয়েছেন। সম্পাদনা ; জেরিন 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়