শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৮:২৫ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৮:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কথা ৩১ বছরেও ভুলতে পারেনি বাঁশখালীর উপকুলের জনগণ

কল্যাণ বড়ুয়া : [২] দেখতে দেখতে ৩১টি বছর পার হয়ে গেলেও এখনও সে সময়ের ভয়াবহ দৃশ্যের কথা ভুলতে পারেনি উপকুলের জনগণ। স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে আঁকড়ে ধরে এখন নীরবে কাঁদে স্বজন হারা মানুষ গুলো। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাঁশখালীর উপকুল জুড়ে বাঁশখালী ছাড়াও কুতৃবদিয়া, মহেষখালীর বেশ কিছু লাশ বাঁশখালীতে এসে উপকুলে ভিড়ে। ফলে তখন বাঁশখালীতে ৩০ সহস্রাধিক লাশ দাফন করতে হয়েছে বাঁশখালীর উপকুলীয় এলাকায়। 

[৩] বেড়িবাঁধ হীন উপকুলের জনগনের দীর্ঘদিনে দূভোর্গের অবসান হয় বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি হওয়ার পর প্রথম উদ্যোগ নেন বাঁশখালীর উপকুলীয় বেড়িবাঁধ সংস্কারের। তারই ধারাবাহিকতায়  বর্তমানে ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের শেষ পর্যায়ে। 

[৪] বর্তমানে বাঁশখালীর উপকুলে আধুনিক বেড়িবাঁধ হওয়ার পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ হওয়ার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। তার উপর উপকুলীয় অধিকাংশ এলাকা জুড়ে অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করাতে উপকুলের জনগন নিজেদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন  দেখছে। দুর্যোগ কালীন সময়ের জন্য বাঁশখালীতে আশ্রয় কেন্দ্র  ১০৫টি সচল রয়েছে, মোট ১২৩ থাকলেও তার মধ্যে  নদী গর্ভে বিলীন,পুরাতন ও নষ্ট হয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে। আবার বর্তমানে নবনির্মিত অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাম সাইক্লোন সিনেষ্টেমে করা হচ্ছে। ফলে এক সময় আকাশে মেঘ হলে উপকুলের জনগনের যে মনের মধ্যে আতংক হতো তাা এখন অনেকটা হয়না। 

[৫] বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার আবুল বশর বলেন, ৯১ এর আগে যদি আমাদের এলাকায় বেড়িবাঁধ থাকত তাহলে ঘুর্ণিঝড়ে এত মানুষ মারা যেত না । তাছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে লাশ ভেসে আমাদের এলাকায় এসে জড়ো হয়েছে। 

[৬] বাঁশখালীর উপকুলীয় বেড়িবাঁধ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, ২৯৩ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মান    কাজের শেষ পর্যায়ে রয়েছে । আশা রাখি কাজ শেষ হলে ও উপকুলের জনগনের আর কোন দুর্ভোগ থাকবে না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়