শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ০৭:৫৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহনগঞ্জে হাওরের ৪০ কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেল 

রিংকু রায় : [২] নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ডিঙ্গাপুতা হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা স্থায়ী হাইজদা বাঁধ বুধবার রাতের আঁধারে ভেঙ্গে যায়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের আশপাশে বালি ও পাথর ফেলা শুরু করেছে পাউবো। 

[৩] গাগলাজুর বাজার থেকে জৈনপুরের দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কংস নদের তীরে মান্নান তালুকদারের জমির কাছে ওই বেড়িবাঁধের অন্তত দেড়শ ফুট ভেঙ্গে যায়। জানা গেছে, এই মুহুর্তে কংস নদের পানিতে প্রবল কোন চাপ নেই। যাতে করে ওই বাঁধ ভেঙ্গে যায়। 

[৪] তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, অসময়ে পানির প্রবল চাপ ছাড়াই বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। জানা যায়, ২০১৭ সালে ডিঙ্গাপুতা হাওরের হাইজদা মাটির বাঁধ ভেঙ্গে মোহনগঞ্জের হাজার হাজার কৃষকের ফসল সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট হয়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কংক্রিটের ব্লক দিয়ে চর হাইজদা বেড়িবাঁধ স্থায়ীকরণে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। 

[৫] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ সফরে এসে চর হাইজদা বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই বাঁধের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গাগলাজুর থেকে জৈনপুর পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার অংশে উভয় পার্শ্বসহ উপরিভাগ সিসি ব্লক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাঁধের কাজ শেষ করে গত বছরের জুন মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট ওই প্রকল্প বুঝিয়ে দেয়। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ওই বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। গাগলাজুর গ্রামের চৌড়াপাড়ার বাসিন্দা মোঃ সজীব মিয়া, মান্দারবাড়ী গ্রামের কৃষক জোসেফ মিয়া ও একই গ্রামের জুনায়েদ মিয়া জানান, পানি কম, তেমন চাপও নেই। আগে পানির চাপ ছিল ; তখন বাঁধ ভাঙ্গেনি। কি হলো জানি না ! 

[৬] সরেজমিন আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও গাগলাজুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেব মিয়া (২৩) বলেন, এখানে প্রায় ২০০ ফুট অংশ কংক্রিটের স্থায়ী বাঁধ ভেঙ্গে যায়। গাগলাজুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব এলাকাবাসীর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, বাঁধের গভীরে লিকেজ আগেই শুরু হয়। তবে এখন বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে। এদিকে বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম সৈকত, ইউএনও ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি, কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, ওসি রাশেদুল হাসান, সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা দোলা মিয়া প্রমুখ পরিদর্শন করেছেন। 

[৭] পরিদর্শন শেষে নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম সৈকত ও ইউএনও ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি সংবাদিকদের বলেন, এ বাঁধ ভাঙ্গার প্রশ্নই ওঠে না। তবে নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা জানান, ওই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে এ মুহুর্তে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই। কারণ, ৯৯ ভাগ ধান কাটা শেষ। সম্পাদনা : জেরিন 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়