হারুন-অর-রশীদ: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ের মাঝিকান্দা তালমার খালের উপর প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রীজ হঠাৎ ভেঙ্গে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আঁধারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তরিগড়ি করে কাজ করে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নির্মাণ কাজে দেখভালোর জন্য ছিল না উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের কেউ। এ কারণে হঠাৎ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের পিলারও বেকে গেছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) নির্মাণাধীন এ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে বলে স্থানীয়দের দাবী।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রীজটি নির্মাণে চরম অনিয়ম হওয়ার কারণে ভেঙ্গে পড়ছে। ভেঙ্গে পড়া ব্রীজের কাজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করছে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গা ব্রীজ তড়িগড়ি করে সংস্কার করার কারণে ভবিষ্যতে আবার ভেঙ্গে পড়তে পারে, ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন করে সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে নগরকান্দা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (ব্রীজের দায়িত্বে থাকা এসও) মিরান হোসেন বলেন, ব্রীজটির উচ্চতা বেশী হওয়ার কারনে ধসে পড়েছে। আমরা এত উচু ব্রীজের কাজ আগে কখনও করি নাই। ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার আগে ঢাকা থেকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এসে ব্রীজ পরিদর্শন করেছেন এবং অতি দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিক যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্রিজের কিছু অংশ ভেঙেছে; তবে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের এলজিইডি'র(স্থানীয় সরকার বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিলো সেভাবে হয়নি বিধায় এমনটা হয়েছে। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ার কোন সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। দু'পাশের ঢালাই আরও কিছু ভেঙ্গে নতুন করে স্টেজিং করতে হবে এর জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দের সুযোগ নেই। ঠিকাদারের নিজস্ব অর্থায়নেই ঠিক করতে হবে।
প্রতিনিধি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :