জিয়া উদ্দিন, আমতলী: [২] পবিত্র ঈদুল ফিতর বাকী মাত্র চার দিন। বিত্তবান, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর আগমনে আমতলীর ঈদ বাজার জমজমাট। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা।
[৩] ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো জামা-জুতা, পোশাক-প্রসাধনী ইত্যাদি ঈদপন্য কিনে নিচ্ছেন। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাক তৈরি বেশি হচ্ছে বলে দাবী করেন টেইলার্স মোঃ লিটন মিয়া।
[৪] আমতলীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বস্ত্রালয় গুলোতে পাকিস্তানী দিনহামিদ- ৮ হাজার পাচ’শ, লং ফ্রোক ভিওলেট-১২ হাজার, তাওয়াক্কাল-৭ হাজার পাচ’শ, ইন্ডিয়ান গঙ্গা-৩ হাজার পাচ’শ থেকে ৮ হাজার, ভিপুল-৪ হাজার পাচ’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাড়ী কাশমিরী-৫ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার ৫’শ, ইন্ডিয়ান সিল্ক- ২ হাজার ৫’শ থেকে ৬ হাজার ৫’শ, জামদানী ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার ও ডিজিটাল প্রিন্ট সিল্ক -৮ হাজার ৫’শ থেকে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং জুতার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
[৫] পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মাতৃছায়া বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন বস্ত্রালয়, ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, ফাতেহা বস্ত্রালয়, মাসফি চয়েজ ও সারমিন ফ্যাসন হাউস ঘুরে দেখা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে। আকন বস্ত্রালয়ের পরিচালক কামাল আকন বলেন, গত দু বছর করোনার কারনে বেঁচাকেনা তেমন হয়নি। এ বছর আমাদের দোকানসহ সকল দোকানেই বেঁচাকেনা বেশি।
[৬] হান্নান সু স্টোরের মালিক, হান্নান হাওলাদার বলেন, এ বছর বেঁচাকেনায় আমরা সন্তুষ্টু। সকলেরই বেঁচাকেনা ভালো।
[৭] আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহামন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জনগণ ঈদ করতে আসায় দোকানগুলোতে ভীড় খুব বেশী। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ী ফিরে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন স্পটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :