খাদেমুল বাবুল: [২] জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী গ্রামের অহেজ আলী (৭৫)। থাকতেন অন্যের আশ্রয়ে। কাটিয়েছেন যাযাবর জীবন। ঈদের আগে স্বপ্নের ঠিকানা সেমি পাঁকা ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত অহেজ আলী।
[৩] আবেগ আপ্লুত অহেজ আলী বলেন, বৌ-পোলাপান নিয়ে জীবনডা বড় দুঃখ-কষ্ট করে পারকরছি। কতো জুনের বারী (বাড়ি) কতো দিন-আইত(রাত) পোয়াই গেছে হিআত্মা নাই। ঈদের আগে সামাই-সুজি না খইয়েও থাকছি। আজ “মা” জননীর দালান ঘর পাইছি। আমার ঠাই খোয়াফের মোতন ডেকতাছে।
[৪] মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরে ২৮০টি ৩য় পর্যায়ের ঘরের উদ্বোধনের পর মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩০টি ভূমিহীন- গৃহহীন পরিবারের মাঝে ৩০টি সেমি পাঁকা ঘর ও দুই শতাংশ করে জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়। করেন।
[৫] জেলায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রায়ন-২ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তৃতীয় পর্যায়ের "ক" শ্রেণির দুই লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৮০টি সেমি পাঁকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
[৬] এসব ঘরের মধ্যে জামালপুর সদর-১০৯টি, সরিষাবাড়ি-৩টি, মাদারগঞ্জ-৩০টি, মেলান্দহ-২৫টি, ইসলামপুর-৩০টি, দেওয়ানগঞ্জ-২৮টি ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ২০টি ঘর রয়েছে।
[৭] প্রথম পর্যায় "ক" শ্রেণির এক হাজার ৪৭৮, দ্বিতীয় পর্যায় ৭৭৫ এবং তৃতীয় পর্যায়ের ২৮০টি ঘরসহ জামালপুর দুই হাজার ৫৩৩ ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবার তাদের স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :