সোহাগ হাসান: [২] সিরাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে বন্যার আশংকা করছেন শহরবাসী। গত ১২ ঘণ্টায় (শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারনে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।

[৩] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপদসীমা ধরা হয়  ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার (১৩.৩৫)। শনিবার (২১ মে) সকাল ৬টায় পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার (১২.১৬)। গত ১২ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

[৪] যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার, আজ শনিবার সকাল ৬টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

[৫] এদিকে পানি বৃদ্ধির কারনে প্রতিদিন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল জেলার পানি কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি। এতে করে বন্যার আশংকা করছেন শহরবাসী। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

[৬] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙ্গন রয়েছে। তবে ভাঙ্গন রোধে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি