নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। জেলার ২৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
[৩] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানিতে অনেক বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। অনেকেই আবার রান্না ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেসব এলকায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভারতের মেঘালয়, আসাম সীমান্তে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকায় সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
[৫] এদিকে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুরমা নদী তীরবর্তী সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, ধর্মপাশা উপজেলার নিম্নাঞ্চল। বন্যার কারণে জেলার ছাতক-সুনামগঞ্জ-সিলেট, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ-হালুয়াঘাট-মঙ্গলকাটা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[৬] শুধু তাই নয়, প্রবল স্রোতে জেলার দোয়ারাবাজারে দুটি ও বিশ্বম্ভপুরের একটি এবং তাহিরপুর উপজেলার একটিসহ এলজিইউডির ৪টি কালভার্ড বা ছোট সেতু ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে এলজিইডির ২৫টির বেশি গ্রামীণ ও আভ্যন্তরীণ সড়ক ডুবে গেছে।
[৭] জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলার ২৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে পাঠাদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২৮টি বিদ্যালয়ের প্লার্ড সেন্টার খুলে দেয়া হয়েছে।
[৮] জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বন্যার্ত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা হিসেবে জেলায় ৩০ টন জিআর চাল ও নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :