শাহাদাত হোসেন : [২] চট্টগ্রামের রাউজানে এক সময় ১৪'টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ৫'শত হেক্টর ফসলী জমিতে শুস্ক মৌসুমে বোরো ধান ও বর্ষার মৌসুমে আমন ধান,আউশ ধানের চাষাবাদ করতো এই জনপদের ছোট-বড় কৃষকেরা।
[৩] বর্তমানে চাষাবাদের চাহিদা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকের কমে।যার কারণে রাউজানে অনাবাদি জমি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে মাত্র এই জনপদে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এক সময় গরু ও নাঙ্গল দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতো এই উপজেলার কৃষকরা। কালের বিবর্তনে এখন পাওয়ার টিলার দিয়ে জমিতে ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও, কৃষকরা চাষাবাদে আগের তুলনায় কমে এসেছে।
[৪] চাষাবাদে যান্ত্রিক যুগ সৃষ্টি হলেও রাউজানে দিন দিন ফসলী জমিতে চাষাবাদ কমেছে। ফসলী জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে গত দেড়যুগের বেশী সময় ধরে। অনাবাদী হয়ে থাকা ফসলী জমিতে ঝোঁপ জার উঠে ভরে গেছে। আর এসব ফসলী জমিতে ভরাট করে গড়ে তুলা হচ্ছে ঘরবাড়ি। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পমিান ফসলী জমি গত এক যুগ ধরে অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে।এক সময়ে অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকা ফসলী জমি গুলোতে শুস্ক মৌসুমে বোরো ধান,বর্ষার মৌসুমে আমন ধান, আউশ ধানের চাষাবাদ করতো কৃষকেরা।
[৫] স্থানীয় কৃষকরা জানান, ধান চাষে আর্থিক লোকসানে চাষাবাদ থেকে আগ্রহ হারিয়েছে তারা। অনেকেই চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। অন্যদিকে সরকার ফসলী জমি অনাবাদী না রাখার জন্য কৃষকদের সার,বীজ, বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।
[৬] এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা কৃষি আফিসার ইমরান হোসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাউজানে ১৪ হাজার হেক্টর ফসলী জমি রয়েছে।১৪ হাজার ফসলী জমির মধ্যে ৩শত ৪০ হেক্টর ফসলী জমি একযুগ ধরে অনাবাদী হয়ে রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিসারের দেওয়া তথ্য সঠিন নয় বলে মনে করেন এলাকার লোকজন।
[৭] তাদের দাবি রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ৭ হাজার হেক্টর পরিমান ফসলী জমি এক যুগ ধরে অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে। রাউজানে কি পরিমান জমি অনাবাদী হয়ে রয়েছে তা সঠিকভাবে জরিপ করে অনাবাদী জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার লোকজন। সম্পাদনা : জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :