নুর উদ্দিন : [২] সুনামগঞ্জে টানা ৬দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কে পানি উঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানিবন্ধী মানুষদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বন্যায় মানুষজন দিন-রাত মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
[৩] সুরমা, চেলা, মরা চেলা, পিয়াইন, ঘানোউড়া, চিলাই ও চলতি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ ফসলী জমি।
[৪] ঢলের পানিতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার অনেক খামারের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছ চাষীরা। গত বছরও বন্যায় শতাধিক পুকুরের কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়েছিল।
[৫] ঢলের পানিতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার উচু এলাকার সম্পূর্ণ ইরি ধান তলিয়ে গেছে। শাক-সবজির জমিও পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
[৬] শতাধিক স্টোন ক্রাসার মিল, পোল্ট্রি ফার্মে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয় -ক্ষতি হয়। হাট-বাজারে পানি টুকে পড়ায় দোকান বন্ধ রয়েছে। সুরমা নদীতে কার্গো লোডিং আন লোডিং কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে । এতে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
[৭] গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ১৮০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৮] ছাতকের হলদিউরা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্কীমে চাষ করা ৭কিয়ার ইরি জমির ধান তলিয়ে গেছে।
[৯] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে পৌর শহরের বৌলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাতিকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে। সম্পাদনা : জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :