আবদুল ওহাব : [২] অবশেষে পরিচয় মিলেছে বগুড়ার শাজাহানপুরে লাউক্ষেতে পাওয়া ৮ বছর বয়সী শিশুটির।নাম সামিউল ইসলাম (৮)। সে উপজেলার তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া কওমি মাদরাসার আবাসিক ছাত্র। পিতার নাম জাহাঙ্গীর আলম এবং মা সালেহা বেগম। বাড়ী উপজেলার সাজাপুর গ্রামে। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।
[৩] জানা গেছে, নিহত মাদরাসাছাত্র সামিউলের বাবা জাহাংগীরকে তালাক দেয় মা সালেহা বেগম(৩৮)। পরে ফজলু মিয়া নামে একজনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করে উপজেলার সাজাপুর কাগজি পাড়া গ্রামে। কিন্তু সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় কয়েকদিন আগে সালেহা ফজলুকে ডির্ভোস দেয়। এরই জের ধরে চলছিল দুজননের রেষারেষি।
[৪] কওমি মাদরসার প্রধান মাওলানা জানান, ঘটনার আগেরদিন সন্ধায় সামিউলকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার সৎ বাবা ফজলু মাদরাসা থেকে তাকে নিয়ে যায়। আর ঐদিন রাতেই এই মর্মান্তিক হত্যাকাান্ডের ঘটনা ঘটে।
[৫] মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি রুবেল মন্ডল জানান, ছালেহার একাধিক বিয়ে ও তাদের সাথে রেষারেষির অভিযোগ রয়েছে। তবে নিষ্পাপ শিশুটিকে মেরে ফেলা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না।
[৬] এলাকাবাসী জানান, সালেহার বারবার স্বামী বদল আর ডিভোর্স দেয়ার জেরে অশান্তির মূল কারন। তবে কোরআনের পাখী সামিউলের জীবনাবসান কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা গ্রামের সকলেই। কেহই রাখতে পারছেনা চোখের পানি। কান্নায় প্রকৃতিও যেন আহাজারি করছে। উল্লখ্য মঙ্গলবার দিন ভোরে উপজেলার মানিকদীপা গ্রামে এক বিস্তীর্ণ লাউক্ষেতের খুটির সাথে রশি দিয়ে পেচিয়ে নির্মমভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। খোজ পেয়ে লোকজন খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
[৭] তবে স্থানীয়রা জানান, কোরআনের এই পাখিটিকে যে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই নরপশুর কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।
[৮] শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শমিজেক পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :