অহিদ মুুকুল : [২] নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে সরকারের (ভিজিএফ) কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাম পুলিশ মো. হারুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইউপি সচিব বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা করেছেন।
[৪] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায় বাসিন্দাদের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির ৪২০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের পর চালের বস্তাগুলো ইউপি কার্যালয়ে রাখা হয়। রাতে সেখান থেকে কার্যালয়ের পাহারাদার গ্রাম পুলিশ হারুনের সহায়তায় ৪০ বস্তা চাল সরানো হয়।
[৫] ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, তিনি বা তাঁর কোনো লোক ভিজিএফ কর্মসূচির চাল আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নন। গতকাল দুপুরে বিতরণের সময় চালের মজুত দেখে সন্দেহ হলে গণনা করে দেখেন, ৪০ বস্তা চাল নেই।
[৬] তখন তিনি গ্রাম পুলিশ হারুনকে ডেকে চাল কত বস্তা আনা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ৪২০ বস্তা। সে হিসাবে বিতরণের পর অবশিষ্ট বস্তা গুনে দেখা যায় ৪০ বস্তা চাল নেই। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল ছিল।
[৭] জসিম উদ্দিনের দাবি, ইউপি কার্যালয় থেকে চাল উধাও হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। এরপর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে আসেন। তিনিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ হারুনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ইউপি সচিব বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
[৮] ইউএনও আতিকুর মামুন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বাটইয়া ইউপি কার্যালয় থেকে চাল উধাও হওয়ার ঘটনায় গ্রাম পুলিশ হারুন জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া যাদের জড়িত থাকার কথা শোনা যাচ্ছে, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
[৯] কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভিজিএফ কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাম পুলিশ হারুনের বিরুদ্ধে আজ থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা : জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :