শিরোনাম
◈ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: জানালেন আইন উপদেষ্টা ◈ জাহাঙ্গীরনগরে ‘গণপিটুনিতে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ◈ তমা মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ফাটলের গুঞ্জন, যা বললেন রাফি (ভিডিও) ◈ ‘মারছে, ভাত খাওয়াইছে, এরপর আবার মারছে, ভাত খাওয়াইছে : তোফাজ্জলের মামাতো বোন (ভিডিও) ◈ ঢাবিতে পিটিয়ে যুবক হত্যার ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থী আটক ◈ শামীম ওসমানের পুরোনো ভিডিওটি ভাইরাল : ‘ফিরব কি না জানি না’ ◈ জাদেজা-অশ্বিনের জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারালো বাংলাদেশ ◈ দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে পার্কে : ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট ◈ ফের নেতাকর্মীদের জন্য আওয়ামী লীগের জরুরি নির্দেশনা ◈ মণিপুরের সহিংসতায় মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার বসাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২২, ০১:৫১ রাত
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৭:১৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্রেতা সংকটে হিলির গুদামে পঁচছে পেঁয়াজ

ছবি: সংগৃহীত

হিলি প্রতিনিধি: ক্রেতা সংকটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এরইমধ্যে গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজে পচন ধরছে, গজিয়েছে গাছ। বাধ্য হয়ে এসব পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, এদিকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি পাইকারসহ নিম্নআয়ের মানুষ। 

আইপি না থাকায় বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আমদানি বন্ধের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। ফলে বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৬ টাকা এবং বড় আকারেরটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন বিক্রি নেই বললেই চলে।

গুদামে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল মান্নান বলেন, বাজারে ভালো পেঁয়াজের দাম বেশি, এ কারণে গুদামে কিনতে এসেছি। গুদামের অনেক পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্য থেকে কিছু কিছু বাছাই করে কিনছি। এগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবো।


পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারি অনুমতি না থাকায় ৫ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে মে দিবস, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আগের অনুমতি পাওয়া এলসির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা না থাকায় মোকামগুলোতে তেমন চাহিদা নেই। বিক্রি না হওয়ায় গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের মজুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরম আবার কখনও বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচন ধরেছে, গজিয়েছে গাছ। বাছাই করে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৫-২৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অল্প খারাপগুলো ১০-১২ টাকা আর বেশি খারাপগুলো ৪-৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাড়তি দামে আমদানি করে কম দামে বিক্রি করায় লোকসান গুণতে হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে এক হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আইপি না থাকায় আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকের যে দৈনন্দিন আয় সেটিও কমেছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়