নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাচার হওয়ার সাত বছর পর এক তরুণীকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত।
ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার (১৬ মে) চম্পা আক্তার (১৯) নামে ওই তরুণীকে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক এম এ হামিদ তাকে তার মা ফাতেমা বেগমের জিম্মায় ফিরিয়ে দেন।
আদালত ও মামলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জুন ১২ বছর বয়সী চম্পা আক্তারকে খুলনায় একটি বাসায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ঝালকাঠি থেকে নিয়ে যায় একটি মানবপাচারকারী চক্র।
পরে তাকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে কৃষনাগিরি জেলার একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই বছরই বাংলাদেশ ও ভারতের মানবপাচার রোধে বেসরকারি সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার সেই পতিতালয় থেকে ভারতের পুলিশের সহায়তায় চম্পাকে উদ্ধার করে ব্যাঙ্গালোরের সাক্ষাতকারা শেল্টার হোমে রাখে।
এ ঘটনায় কৃষনাগিরি জেলার হুডকো থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভারতীয় পুলিশ। সেখানকার আইনি প্রক্রিয়া শেষে জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সংগঠনের মাধ্যমে তাকে গত ৫ মার্চ বেনাপোল স্থল বন্দরে বাংলাদেশের একটি সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই জানান, চম্পাকে অপহরণের ঘটনায় তার মা ফাতেমা বেগম ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ঝালকাঠির মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. শফিকুল করিম ঝালকাঠি থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এ মামলায় ঢাকা সিআইডি পুলিশের অর্গ্যানাইজড ক্রাইম পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার খালিশপুর থানার সেনহাটির মুমিন হাওলাদারের স্ত্রী হাসিনা বেগম, একই এলাকার কবির হোসেনের স্ত্রী ঝুমুর আক্তার এবং ঝালকাঠির বাসন্ডা গ্রামের ইন্দ্রজিৎ শিকদারের স্ত্রী মিনতি শিকদার।
এদের মধ্যে মিনতি শিকদার ঝালকাঠিতে মানবপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার হন। তবে বাকিদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :