মিনহাজুল আবেদীন: [২] দেশের অন্যতম বড় চালের মোকাম নওগাঁয় গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ধান ও চালের দাম বেড়েছে। প্রথম আলো
[৩] ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক দিনে স্থানীয় বাজারে ধানের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ধানের দাম বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম বাড়ছে।
[৪] জানা গেছে, প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারের প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
[৫] সোমবার নওগাঁর আলুপট্টি চালের মোকাম ও পৌর বাজারের খুচরা মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগেই প্রতি বস্তা জিরা চাল ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই জিরা চাল ২ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তা কাটারিভোগ চালের দাম এখন ২ হাজার ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা। আগে বিআর-২৮ চাল ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেটা ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[৬] এছাড়াও মোটা চালের (স্বর্ণা-৫, হাইব্রিড স্বর্ণা) দাম প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০ টাকা। জিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৭ টাকায়, যা আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। দেশ রূপান্তর
[৭] নওগাঁর পৌর খুচরা চাল বাজার সমিতির সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে তেল ও পেঁয়াজের মতো চালের বাজারেও একধরনের অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। প্রকারভেদে প্রতি কেজি চাল দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোকাম থেকেই আগের চেয়ে প্রতি বস্তা চাল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে গেছে।
[৮] নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সরকারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হতে পারে। ধানের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কার কারণ, বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ জন্য ধানের দাম বেড়েছে। ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম স্বাভাবিকভাবে একটু বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বোরো ধান পুরোদমে উঠতে শুরু করলে দাম আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :