এস.এম আকাশ : [২] ফরিদপুরে অতি গোপনে গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্রসহ বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় আর্থিক দান করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামে এক তরুন সমাজ সেবক।
[৩] এখন ফরিদপুর ১- আসনের বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার হাজার হাজার মানুষের কাছে অতিপরিচিত মুখ ও ভালবাসার নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তার কাছে কোনকিছু চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফেরেননি।
[৪] মানুষের সাথে সুমধুর আচারন ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মোঃ দেলোয়ার হোসেন বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। সে ছোট বেলা থেকেই ছিলেন দূরন্ত ও পরোপকারী। তার বাবা মোঃ ছাদেক শেখ তিনিও বিপদে আপদে সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। মো.দেলোয়ার হোসেন কিছু দিন আগে ফরিদপুরের মানবিক পুলিশ সুপার মো.আলিমুজ্জামানের মাধ্যমে একটি হতদরিদ্র অসহায় গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য আড়াই লাখ টাকা দেন। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের ঘোয়াইবাড়ী এলাকায় চাঞ্চচল্যকার জোড়া খুনের ঘটনায় দুই পক্ষকে ভবিৎসতে এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যাহাতে আর না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ করেন এবং নিহতের দুই পরিবারকে নগদ ১লক্ষ টাকাসহ ২টি অটো বাইক কিনে দেন।
[৫] মো.দেলোয়ার হোসেন মসজিদ, মাদরাসায় নির্মাণ কাজে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উপকরণ কিনে দেন পাশিাপাশি হাসপাতালে রোগির খোজ খবর ও আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। এলাকার অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আজ তিনি বিশিষ্ট সমাজ সেবক খ্যাতি লাভ করেন। অনেকেই তাকে মানবতার দূত বলেও ডাকেন।
[৬] সাধারণ মানুষের মাঝে অনেকেই বলেন, বোয়ালমারী উপজেরার মধ্যে অর্থবিত্তশালী অনেকেই আছেন কিন্তু মোঃ দেলোয়ার হোসেনের মত এইভাবে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত কেউ বাড়িয়ে দেয়নি। বৈশিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন মানুষগুলো যখন কষ্ট পাচ্ছে তখনই মোঃ দেলোয়ার হোসেন ছুটে যান এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে। তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
[৭] জানতে চাইলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফরিদপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার স্যার, মানবিক পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান স্যার, যে ভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই তুলনায় আমরা স্থানীয়রা আমাদের অনেক দায়িক্ত বোধ থাকা দরকার। আমি যা করছি আমার দায়িক্তবোধ থেকেই করছি। তিনি আরো বলেন,
[৮] ছোট বেলা থেকেই আমার মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমার ভাল লাগে। আমার জীবনে তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নাই এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বিপদে আপদে পাশে দাড়াতে পারলেই খুঁশি। আমি সকলের ভালবাসা নিয়ে সামনের দিনগুলিতে বেচে থাকতে চাই। আপনারা সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :