নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষক সিন্ডিকেটের চরম দুর্নীতি, বিদ্যালয়ের মেরামত বা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের উপকরণের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য এবং শিক্ষক হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দুদকে তলব করা হয়।
দুদক কর্তৃক তলব পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। গোলাম মোস্তফা এক সময় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি ছিলেন। রফিকুল ইসলাম এ বছর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের উপসহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি স্মারক চিঠি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়। গত ১০ মে দুদক উল্লিখিত ওই দুই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা।
দুদকের প্রেরিত চিঠি থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক সিন্ডিকেটের চরম দুর্নীতিতে বিদ্যালয়ের মেরামত ও শিক্ষার্থীদের উপকরণের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ ও নানারকম অভিযোগে অভিযুক্ত ২ শিক্ষককে আগামী ২২ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তলব করা হয়। একই অভিযোগে বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে গত বছর ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদক তলব করে।
শিক্ষক নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের মানহানি ও হয়রানির উদ্দেশ্যেই এ অভিযোগ করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশিদ বলেন, শিক্ষক নেতাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের এটি একটি বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, তার সাড়ে তিন বছরে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রশ্রয় পায়নি। তবে এ অভিযোগটি হয়েছে ২০১৯ সালে।
দুদকের দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ৯-১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলাও হয়েছে। এর আগে ১৫ শিক্ষকের জবানবন্দি নেওয়া হয়। শুনানির জন্য আরও দুই শিক্ষক নেতাকে তলব করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :