শিরোনাম
◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২২, ০৩:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০২২, ০৪:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তৃতীয় দফায় বাড়লো চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের সময়

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

রিয়াজুর রহমান: [২] চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সময় বাড়লো। একই সঙ্গে প্রকল্পের ব্যয় ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থ পাওয়া গেলে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াবে চার হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। এরপরও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারছেন না প্রকল্প পরিচালক।

[৩] সিডিএ’র এই প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র‍্যাঙ্কিন। ইতোমধ্যে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলমান।

[৪] সিডিএ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।

[৫] দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এই দফায় সময় বেড়েছে এক বছর। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। একই সময়ে প্রকল্প ব্যয় এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

[৬] সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পের কাজ শুরুর পর নকশায় ত্রুটি ধরা পড়ে। এ নিয়ে আপত্তি জানায় চট্টগ্রাম বন্দর ও সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। নকশায় ত্রুটি, সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করে তড়িঘড়ি করে প্রকল্প অনুমোদনের কারণে বেড়েছে ব্যয়। পরে নকশা নিয়ে বন্দর ও সিএমপির আপত্তির কারণে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়।

[৭] চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের আপত্তির কারণে নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এজন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। কাজ বেড়েছে, সময় বাড়ছে। এসব কারণে এক হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং দুই বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি আমরা। এখনও মন্ত্রণালয় অর্থ দেয়নি। তবে সময় বাড়িয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর। এই সময়ে কাজ শেষ হবে বলে মনে হয়না।’

[৮] তিনি বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ না হলে যানজট বাড়বে। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে পতেঙ্গা থেকে নিমতলী পর্যন্ত আট কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবো। প্রকল্পের জন্য যেখানে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, নকশায় পরিবর্তন ও সংযোজন করতে হবে সেসব স্থানে আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে।’

[৯] এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বন্দর, সিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আপত্তির কারণে কাজের গতি কমেছে। যেসব সমস্যা আগে দেখা যায়নি কিন্তু কাজ শুরুর পর দেখা যাচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ যেসব বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল সেগুলো বৈঠকে সমাধান হয়েছে।’

[১০] নকশায় ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে সিএমপি, তারা কিছু নকশা সংস্কারের কথা বলেছে। আমরা সেগুলো সংশোধন করেছি। নতুন নকশা অনুযায়ী কাজ হবে।’

[১১]  মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সড়কের মাঝখানে থাকা বিদ্যুতের পোলগুলো সরাতে দেরি করছে পিডিপি। সড়কের নিচে থাকা ওয়াসার পাইপ লাইন কাজ করার সময় ফেটে যাচ্ছে। এগুলো সরানোর জন্য ওয়াসাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা সেগুলো সরাতে দেরি করছে। এখনও টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত রেললাইনের ওপর কাজ করার অনুমতি দেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও পিলার বসানো যাবে না বলেছেন রেলের কর্মকর্তারা। তাই বিকল্পভাবে রেললাইনের ওপর কাজ করতে হবে। সবমিলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারবো কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়