ডেস্ক রিপোর্ট: ভাড়া ফ্ল্যাটের শয়নকক্ষ থেকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ঠিকাদারি ব্যবসায়ী তৌফিকুল ইসলাম টিটুর (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ। বুধবার রাতে নেত্রকোনা পৌর শহরের আরামবাগ এলাকার হেলাল প্লাজার চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারেনি। বিডি প্রতিদিন
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, টিটু জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বাহিরচাপড়া গ্রামের মৃত শামছুল ইসলাম মানিকের ছেলে। গত ছয় বছর ধরে স্ত্রীসহ তিনি শহরের আরামবাগ এলাকার হেলাল প্লাজায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। তার ৭ বছর বয়সী পৃথা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী লাবন্য ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান স্বজনরা।
গত এক সপ্তাহ আগে টিটুর স্ত্রী লাবন্য মেয়েকে নিয়ে শেরপুর বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। বুধবার ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আসেনি।
এদিকে খালি বাসায় সন্ধ্যায় আবুনি নামের এক ব্যক্তি টিটুকে ডাকতে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢোকেন। এসময় টিটু বিবস্ত্র অবস্থায় খাটের পাশে নিচে পড়ে আছে দেখে অন্যদের ডাকাডাকি করেন, সেইসাথে পুলিশে খবর দিলে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল করে মর্গে পাঠায়।
ভাতিজি সুমাইয়া আক্তার জানান, তারা খবর পেয়ে এসে দেখেন চাচা বিবস্ত্র অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। পুলিশ দরজা আটকে সুরতহাল রিপোর্ট করছে। কিন্তু কেন এমন মৃত্যু হলো, তা কেউ বলতে পারছে না।
ফ্ল্যাটের মালিক মারুফ খান জানান, সন্ধ্যার পর বাসার কেয়ারটেকার গিয়ে বলে কিছু শুনেছেন? পরে সে ডেকে নিয়ে মরদেহ দেখায়। এরপর তিনি ভাইদের ফোনে জানাতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৬ বছর ধরে টিটু তার বাসায় থাকেন। তবে পারিবারিক বা অন্য কোনো কিছু আছে কিনা এসব তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আমরা রাত আটটায় খবর পেয়ে ওখানে যাই। গিয়ে অনেক মানুষ দেখি। পরে সুরতহাল করে মর্গে পাঠাই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :