এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাংকের এটিএম বুথ ভেঙ্গে টাকা লুটের চেষ্টার অভিযোগে আশরাফ ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। 

[৩] মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কে ব্যাংক এশিয়ার বুথ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আশরাফ জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার আবুল ফয়েজ মিয়ার ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামে। তিনি পরিবারসহ দীর্ঘদিন শহরতলীর পূর্ব নয়নপুরে বসবাস করছেন। তবে তার পরিবারের দাবি সে মানসিক রোগী।

[৪] ব্যাংক এশিয়া সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে ওই যুবক বুথে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীকে বেধে ফেলার চেষ্টা করেন। তখন বাইরে থেকে অন্য নিরাপত্তাকর্মী বুথের ভেতর গেলে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চিৎকার দিলে আশাপাশের দোকানদার ও পথচারীরা এগিয়ে এসে যুবককে আটক করে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

[৫] আটক আশরাফ জানান, আমার দুই লাখ টাকা ঋণ আছে। সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছিলাম না। বাবার নয়নপুরে তিনতলা বাড়ি এবং গ্রামে অনেক জমিজমা থাকলেও টাকা দিচ্ছিলেন না। তাই ২ লাখ টাকার জন্য বুথ ভাঙতে চেয়েছিলাম। এজন্য ১৪০ টাকা দিয়ে শহরের জগত বাজার থেকে ১৪০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে এনেছি। ভেবেছিলাম গার্ডকে চাকু ধরলে বুথের চাবি দিয়ে দিবেন।

[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, আশরাফকে আটক করার পর তার পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন। তাদের দাবি সে মানসিক রোগী। দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ফরুক আলমের চিকিৎসাধীন আছেন। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন দেখিয়েছে।

[৭] তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিতে আলোচনা করবো। পরবর্তীতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।