রুবেল মজুমদার : [২] দীর্ঘ দুই বছর করোনার মাহামারি তাণ্ডবে  কাটিয়ে এবার ঈদের ছুটিতে কুমিল্লার পযর্টন কেন্দ্রগুলো জমে উঠেছে।বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে উপড়ে পড়া ভিড় করছেন কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলার দর্শনার্থীরা।

[৩] এবার ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে ঈদের আনন্দ কিছুটা ম্লান হলেও ঈদের পরদিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার কুমিল্লার প্রত্যেকটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল লোকজনের উপচে পড়া ভিড়।

[৪] কুমিল্লার আকর্ষণ স্থানগুলো হল শালবন বিহার,ময়নামতি জাদুঘর,নগরীর ধর্মসাগরপাড় ও গোমতির পাড়। শালবন বিহারের পাশেই  রয়েছে লালমাই পাহাড়। এ পাহাড় এর আশ পাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৮ কিলোমিটার জুড়ে শালবন বিহার স।এছাড়া শহরে ধর্মসাগর পাড়ে আড্ডা দিতে এবং নৌকায় চড়তে মানুষ ভিড় করছে।

[৫] বৃহস্পতিবার সরেজমিন বিকালে ঘুরে দেখা যায়,শহরের রাস্তঘাট আর অফিস-আদালত ফাঁকা থাকায় সবার গন্তব্য ছিল বিনোদন কেন্দ্রমুখী। ফেনীর সেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কুমিল্লা ধর্মসাগর এসেছিল নয়  বছর বয়সী শিশু রাফি । রাফি বলেন, নগরের শিশু পার্কটি অনেক সুন্দর ,আব্বু ও আম্মু সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। দোলনা ও ট্রেনে চড়েছি।এছাড়া সন্ধ্যায় শহরে রসমালাই খেতে যাবো।

[৬] নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার বেসরকারি কর্মকর্তা মামুন মিয়া বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি।বিগত দুই বছর করোনার কারনে পরিবার নিয়ে বের হবে পারি নি।এবার অনেক ভালো লাগছে পরিবার সদস্যদের নিয়ে সময় কাটতে পেরে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা জেলার বিভিন্ন পার্কে একান্তে সময় কাটানোর পাশাপাশি প্রিয় মুহূর্তকে সেলফিতে ধরে রাখতেও কার্পণ্য করেননি প্রেমিকযুগলরা।

[৭] এছাড়া লালমাই পাহাড় ও কোটবাড়িতে বেসরকারি পার্কগুলোতেও ভিড় রয়েছে। এদিকে মহানগরীর ধর্মসাগর পাড়ে আড্ডা দিতে এবং নৌকায় চড়তে মানুষ ভিড় করেছেন। কুমিল্লার সদর দক্ষিণে লালমাই পাহাড়ের শীর্ষ দেশে চন্ডি মন্দির অবস্থিত। এলাকাটি চন্ডিমুড়া হিসেবে পরিচিত। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া রাজেশপুর ফরেস্টবিট। এখানে বাংলাদেশ ও ভারতের নোম্যান্স ল্যান্ডের দেখা মিলে। পাখির কিচির-মিচির শব্দ আর সবুজ অরণ্যে ডুব দেয়া যায় কিছু সময়।

[৮] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ওয়ার সিমেট্রি কুমিল্লা-সিলেট সড়কের পাশে ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তরে অবস্থিত। এখানে ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, নিউজিল্যান্ডিয়ান, আফ্রিকান, জাপানী, আমেরিকান এবং ভারতীয় মিলে ৭৩৭ জন সৈন্যের সমাধি রয়েছে। জেলার লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরে রয়েছে নারী জাগরণের পথিকৃৎ নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি।

[৯] এদিকে দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

[১০] এ বিষয় কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ বলেন,বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়ান করেছি।এছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খারাপ খবর শুনতে পারিনি।