চট্টগ্রামের পটিয়াকে পানিসংকট এলাকা ঘোষণা করতে যাচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় এই বিষয়ে গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল সরেজমিন পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) মহাপরিচালক লুত্ফর রহমান।
ওয়ারপো প্রতিনিধিদলে মহাপরিচালক ছাড়াও ছিলেন পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আমিনুল হক। তারা পটিয়া উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমানের সভাপতিত্বে পানিসংকট মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালা শেষে তারা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে জনগণের কাছে লিখিত ৩০টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন।
কর্মশালায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফাহাদ আলম জানান, পটিয়ায় শিল্পকারখানায় গভীর নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন করায় বছরে গড়ে পানির স্তর ৩ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে যাচ্ছে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় শত শত টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পানি সংকটে রয়েছেন এলাকার ৪ লাখ লোক।
ওয়ারপো ডিজি কর্মশালায় আশ্বস্ত করেন শিগিগরই তারা সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিবেন। যাতে পটিয়াকে পানিসংকট এলাকা ঘোষণা করে অন্তত দুই বছর পটিয়ায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করা হয়। এই সময়ে বিকল্প উপায়ে এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে, যাতে দুই বছর পর পানির স্তর পূর্বের জায়গায় ফিরে আসে।
এদিকে কর্মশালায় অংশীজনগণ তিনটি প্রস্তাব করেন। এক, পরিবার কেন্দ্রিক টিউবওয়েল বসানো বন্ধ করে কমিউনিটি ভিত্তিক টিউবওয়েল স্থাপন। দুই, শিল্পকারখানার জন্য হালদা নদীর মিঠা পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া। তিন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর ভান্ডালজুড়ি থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসা যে পানি সরবরাহ শুরু করেছে তার সংযোগ নিতে শিল্পকারখানাগুলোকে বাধ্য করা।