বাঁকখালী নদী রাঘব বোয়ালদের দখলে! প্রশাসন নিরব
হাবিবুর রহমান সোহেল,কক্সবাজার : পর্যটন জেলা কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী এখন দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। প্রতিদিনই প্রভাবশালীদের নগ্নথাবা চলছে বাকখালীর বুকে। এসব দখল বানিজ্যে প্রশাসনের সীমাবদ্ধতার অযুহাত এবং আইনী জটিলতা ও বেপরোয়া দখল প্রবণতা দেখিয়ে বেড়েই চলছে বাকখালী দখলের প্রতিযোগিতা।
অনেকটা অভিভাবকহীন জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী বাকখালী। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শহরের ময়লা–আবর্জনা ফেলে নদীর তলদেশ ভরাট চলছে। নদীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। মাঝেমধ্যে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও পরবর্তী সময়ে তা আবার তৈরি হচ্ছে। এক সময়ের শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র কস্তুরাঘাট এখন বড় এক আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিএ'র ২০২৩-২০২৪ সালের পৃথক প্রতিবেদনে বাঁকখালী নদী দখলে জড়িত ১৩১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত আসে তা নিয়ে কৌতুহল এখন কক্সবাজারের সচেতন নাগরিক সমাজের মাঝে। এরমধ্যে কস্তুরাঘাট সংলগ্ন নির্মিত খুরুস্কুল সেতুর আশপাশ ঘিরে দখলে জড়িত রয়েছেন আরও ৫০ জনের মতো, যাদের মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও করেছে।
প্রতিবেদনে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন- শহরের বদরমোকাম এলাকার জসিম উদ্দিন, হোটেল তাজসেবার খাইরুল ইসলাম জিসান, নতুন বাহারছড়ার গিয়াস উদ্দিন, মাসেদুল হক রাশেদ, ঝাউতলার মোহাম্মদ আলী মুন্না, নতুন বাহারছড়ার জনি, সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, বদর মোকাম এলাকার কফিল উদ্দিন এ্যানি, রুমালিয়ারছড়ার মো. ইসমাইল, ঝাউতলা এলাকার আনিস মোহাম্মদ টিপু, শাহীনুল হক মার্শাল, নেত্রকোনা থেকে আসা ওমর ফারুক, রামুর হেলালুর রশিদ, টেকনাফের মোহাম্মদ ইউনুচ বাঙ্গালী, শফিক মিয়া, ঝিলংজার নুরুল আলম, বাহারছড়ার শহীদুল হক, কাইসার, মেহেদী, নুরপাড়ার তায়েফ আহমদ, তাইছাদ সাব্বির, সিটি কলেজ এলাকার আবদুল মালেক ইমন, পাহাড়তলীর আরিফুল ইসলাম, খুরুশকুলের নুরুল আমিন, মহেশখালীর কুতুবজোমের মেহেরিয়াপাড়ার রোকন উদ্দিন, মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়ার মো. ইউসুফ, সাতকানিয়া কাঞ্চনার শরিফুল আলম চৌধুরী, মহেশখালী পুটিবিলা এলাকার জাহেদুল ইসলাম শিবলু, বদরমোকাম এলাকার মো. কামাল ওরেফে কামাল মাঝি, সাতকানিয়া পশ্চিম ডলুর জসিম উদ্দিন, বাঁশখালী চনুয়ার জিয়া মো. কলিম উল্লাহ, লোহাগাড়া চৌধুরীপাড়াস্থ উত্তর হরিয়া এলাকার খোরশেদ আলম চৌধুরী, মনোহরগনজয়ের দক্ষিন সরসপুর বাতাবাড়িয়া এলাকার ফিরোজ আহমদ, বদর মোকাম এলাকার মিজানুর রহমান, আবদুল খালেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের চাদগাঁও এলাকার মাহমুদুল করিম, কক্সবাজারের লালদিঘীপাড় এলাকার আশিক,, রামু চাকমারকুলের মোস্তফা কামাল, বৈল্যাপাড়ার আমিন, রুমালিয়ারছড়াস্থ এবিসি ঘোনা এলাকার মো. ইসলাম ওরফে খোল বাহাদুর, বদরমোকাম এলাকার মো. ইব্রাহীম, পানবাজার সড়কের মারুফ আদনান, কস্তুরাঘাটের ইশতিয়াক আহমেদ, ইকরা রিয়েল এস্টেট হাউজিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম আমান, খুরুশকুল মনুপাড়ার মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ বার্মাইয়া সেলিম, মধ্যম বাহারছড়ার মো. রানা, লালদীঘির পাড় এলাকার ঝুমা ও মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকার ইকবাল হাসান।