বরগুনার আমতলীতে শ্যালিকাকে (১৬) নিয়ে উধাও বড় বোনের জামাই রনি খান। ছোট বোনকে সুখী দেখতে স্বামীকে তালাক দিয়েছেন বড় বোন ফাহিমা আক্তার। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিলা গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে রফেজ খানের ছেলে রনি খানের সঙ্গে একই উপজেলার ইউসুফ প্যাদার মেয়ে ফাহিমার পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। অর্থসংকটে পড়ে ২০২৩ সালে ফাহিমা কাতারপ্রবাসী হন। এরপর তার স্বামী রনি খান শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
গত বছর জুলাই মাসে ফাহিমা দেশে ফিরে আসেন। স্বজন ও প্রতিবেশীদের মুখে স্বামী রনি খানের সঙ্গে ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনেও স্ত্রী ফাহিমা বিষয়টি আমলে নেননি। তবে গোপনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। গত রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে দুলাভাই রনি খান শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান।
স্বামীর এমন কর্মকাণ্ডে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তাকে তালাক দেন।
এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে স্ত্রী ফাহিমা স্বামী রনি খানকে তালাক দেন। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বামীকে তালাক দেওয়ার বিষয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘তার ছোট বোনকে নিয়ে যখন স্বামী সুখে থাকতে চান তাই বোনের সুখের জন্য তাকে তালাক দিয়েছি। এখন আমি আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাকি জীবন পার করে দেব।
আমতলী পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী রনি খানকে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার তালাক দিয়েছেন। আমার অফিসেই তালাকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়য়টি জানা নেই এবং কোনো অভিযোগ পাইনি।’