ফরিদপুরে আট বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আমিরুল মৃধা (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন স্বশ্রম করাদন্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ওই যুবককে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি (সরকারি কৌশলী) গোলাম রব্বানী ভুইয়া।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিরুল মৃধা জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ কালিবাড়ী মহল্লার পিয়োন কলনী সংলগ্ন আকবর মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা প্রবাসে থাকায় তার মা ফরিদপুর শহরের একটি মেসে রান্না করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনার সময় শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ২০২২ সালের ১৯ জুন বিকেল ৩টার দিকে আমিরুল একটি মেসের রান্না ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে ঘটনার পরেরদিন (২০২২ সালের ২০ জুন) আমিরুলকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান গত ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার চার বছর পর মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতে আসামি হাজির থাকায় পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি (সরকারি কৌশলী) গোলাম রব্বানী ভুইয়া বলেন, রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বেলা ১টার দিকে রায় প্রদানের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।