ফরিদপুরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ব্যানারে মিছিলের চেষ্টাকালে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের আটক ও মামলার তথ্য জানান কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে রোববার দিবাগত গভীর রাতে জেলা সদরের ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের মাচ্চর ইউনিয়নের চন্ডীপুর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
তারা হলো- জেলার সালথা উপজেলার খলিশাডুবি গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের ছেলে ফাহিম মাতুব্বর (১৯), সোলাইমান মাতুব্বরের ছেলে হাসিবুল (১৯), ঝন্টুর ছেলে আকাশ (১৯), দাউদ শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন (১৯), গুড়দিয়া গ্রামের নয়া মাতুব্বরের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), কোতয়ালী থানার চন্ডীপুর গ্রামের বিমল কুমার সরকার (৪৬), মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মোল্যার ছেলে বাবু মোল্যা (১৯) এবং গন্দাখালী গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে সোয়াদ (১৯)।
এদের মধ্যে, ফাহিম মাতব্বরের বাবা সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এবং তার চাচা লাবলু মাতুব্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। রবিউল ইসলামের বাবা বিএনপির সমর্থক। এছাড়া বিমল কুমার সরকার মাচ্চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাদের সাংবাদিকদের সামনে আনা করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানারও দেখানো হয়। ওই ব্যানারে লেখা রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবিসহ লেখা রয়েছে- অবৈধ দখলদারি স্বৈরাচার ইউনুস সরকারের আইসিটি আদালতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের চার্জশিট প্রদান কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করে, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান জানান, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করছিল তারা। এ সময় অনেকেই সেখানে জড়ো হন। তারা রেললাইন সহ মহাসড়কে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে আটক করে নিয়ে আসা হয়। তাদের নামে মামলা হয়েছে।