শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা : কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো: মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার এজহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতারের পর মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ২১ এপ্রিল এমন ঘটনায় নগরজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, গতবছর ৪ আগষ্ট আলেখারচর বিশ্বরোড দুর্গাপুর এলাকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালীন গুলি ও হামলার ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২/৬৬১ নং মামলায় ৫৫ নম্বর এজহারভুক্ত আসামী কাউন্সিলর মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল ওরফে মহুরী বাবলু (৫২)।
জানা যায়, সোমবার রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় মহানগর ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মীরা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার বিরোধী ঝটিকা মিছিল বের করে। অর্ন্তবর্তীসরকার ও প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনুস অবৈধ আখ্যা দিয়ে মিছিলে শ্লোগান দেয়। ঝটিকা মিছিলের ভিডিও তাৎক্ষনিক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এতে বাবুলসহ ৯জনকে আটক করা হয়।
মিছিলে নেতৃত্বদানকারী কুমিল্লার ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সংরাইশ ১৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মহুরী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় । কোতয়ালী থানা পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলে তার বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদ করে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ রযেছে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাঈনুল ইসলাম মোটা অঙ্কের বিনিময়ে রফাদফা করে তাকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, মহুরী বাবুল কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। মামলার এজহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তাকে কেনো ছেড়ে দেয়া হলো এমন প্রশ্নে ওসি ফোন কেটে দেন অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। তাঁর (ওসির) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশ বিভাগ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।