হৃদয় হাসান,কুমিল্লা সদর : কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনসহ ছয় আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান শুনানি শেষে মামলার অন্যতম ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তারমধ্যে এড. জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ এবং এড. মইন পলাতক রয়েছেন।
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন ছাড়াও ৩ আগস্টের এই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাবেক এপিপি এএমএম মহিন, অ্যাডভোকেট জহুর হাসান চৌধুরী সোহাগ, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
তিনি বলেন, এ মামলার সর্বমোট আসামি ২৬১ জন। গেল ১১ই আগস্ট কুমিল্লা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ইনজামামুল হক রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২৪ জন আসামি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তাদের মধ্যে পলাতক দুই আসামির ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।
রায়ের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব বলেন, ৩ আগস্ট কুমিল্লায় যে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে- আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ৩ আগস্টের তাণ্ডবের সাথে অনেক আইনজীবী জড়িত রয়েছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এই মামলায় আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে কোন আইনজীবী যদি অসহযোগিতা করে; তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।।
এদিকে মামলার শুনানি চলাকালে আদালত প্রাঙ্গনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতা ও সাধারণ ছাত্র জনতা আসামিদের বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এছাড়া কারাগারে পাঠানোর সময় আসামিদের উপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়।