শিরোনাম
◈ রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব ◈ পুতুলের ৫৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ ◈ বাংলাদেশ এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, প্রথম স্থানে কে? ◈ রিয়াল মা‌দ্রিদের আনচেলত্তি এখন ব্রা‌জি‌লেন কোচ,  ঘোষণা আস‌ছে শিগগিরই ◈ বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডে দুর্নীতি-অনিয়মের ২৭টি অভিযোগ তদন্তে দুদক ◈ দ্বিগুণ ভ্যাট প্রস্তাবের পরিকল্পনা, বাড়তে পারে ফ্রিজ-এসির দাম ◈ সৌদি আরব নতুন যে বার্তা দিলো হজ পালন নিয়ে ◈ ‌‘পরাজিত কোনো শক্তি যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে’ ◈ রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে? ◈ এবার ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিয়ে যা বললেন পুলিশ সদর দপ্তর

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০৮ দুপুর
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, দ্রুত বোরো ধান ঘরে তোলার আহব্বান

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জমিতে পানি জমায় পাকা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। সামনে বৃষ্টির মৌসুম থাকায় কৃষকদেরকে দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার আহব্বান জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার আগেই দ্রুত ড্রেন ও খালগুলো সংস্কারের দাবি তাদের। নোয়াখালীতে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয় জানিয়ে জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৯টার পর জেলা শহরে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এটা ছিল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। সোমবার সকালে সরেজমিন জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল, ফ্লাট রোড, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে ও দোকানপাটে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। দুপুরের পরও এসব এলাকা থেকে পানি সরে যায়নি। 

ফ্লাট রোড়ের সানরাইজ ইলেক্টনিক্সের সত্ত্বাধিকারী মামুন বলেন, শহরের প্রত্যেকটি ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া খালগুলো দখল এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে আছে। ফলে বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যাচ্ছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এন-রাশ এর পরিচালক একরাম হোসেন হৃদয় বলেন, গেল বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে তুলতে পারেনি নোয়াখালীবাসী। বর্ষার আগে শহরের ড্রেন ও খালগুলো পরিস্কার ও সংস্কার না করলে এবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বন্যায় পরিনত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসন এবং নোয়াখালী পৌরসভার প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরের ড্রন এবং খালগুলো পরিস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি তোলেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএইচবিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফাহিদা সুলতানা বলেন, সবেমাত্র বৈশাখের শুরু, এখন থেকেই বর্ষার আলামত দেখা যাচ্ছে। দু-এক দিনের বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে জুলাইয়ে দু’সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে ঘটতে পারে চব্বিশের বন্যার পুনরাবৃত্তি। অথচ এখনো আমরা দেখছি নর্দমা পরিষ্কার হয়নি, খাল খননের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের মতোই
ভঙ্গুর। তাই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি তোলেন এই সংগঠক।

এদিকে ভারি বর্ষণে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা বোরো ধানের জমিতেও পানি জমে গেছে। এতে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাকা এবং আধাপাকা বোরো ধান হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও জমিতে কেটে রাখা ধান পানির কারণে মাড়াই দেওয়া যাচ্ছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, নোয়াখালীতে এরমধ্যেই প্রায় ৪০ ভাগ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। সামনে বৃষ্টির মৌসুম থাকায় কৃষকদেরকে দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, গত বছর নোয়াখালীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরই স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই খাল-নালাগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখনন-পরিষ্কার করা হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়