খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের লক্ষ্যে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে জেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের (পূর্ণকারবারি পাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
অভিযানে ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তিন জোড়া পোশাক ও ১৯টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, পিস্তলের গুলি, একটি ল্যাপটপ, কয়েকটি ওয়াকিটকি, দুটি মোবাইল ফোন, একটি মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাঁবু, নেট, জিম্মি ধরে রাখার লোহার চেন, ক্যাপ, খাবারের তৈসজপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, প্রোপাগান্ডা সামগ্রী, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পূর্ণকারবারি পাড়ার কারবারি জানায়, এটি ইউপিডিএফের সমন্বয়ক অংগ্য মারমার একটি অস্থায়ী গোপন আস্তানা। এটি অন্য সাধারণ ঘরের মতোই দেখতে।
তালা বন্ধ দেখে সেনাবাহিনীর সন্দেহ হলে পাড়ার লোকজনের সাহায্যে তালা ভেঙে ঘর তল্লাশি করে উল্লেখিত দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। অপহরণের শিকার কাউকে না পাওয়া গেলেও নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, তাদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতি ইঞ্চি জমি তল্লাশি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের অভিযোগ তোলা হয় ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে।
যৌথ বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি প্রদানকারী সব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।