প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের ফরিদপুর এসে এক তরুণকে বিয়ে করে আমেরিকায় উড়াল দিলেন তরুণী। বিয়ের পর সিংকুর বাবাও ছেলে-পুত্রবধূকে দেখতে যান আমেরিকায়।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হওয়া ফরিদপুরের যুবক আশরাফ উদ্দিন সিংকুকে বিয়ে করেন আমেরিকান ব্যাংকার মুসলিম তরুণী শ্যারন। বিয়ের পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার এক বছরের মাথায় সিংকুকেও নিয়ে যান সঙ্গে করে। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বরও ছেলের কাছে বেড়াতে যান আমেরিকায়।
বর্তমানে আমেরিকায় সিংকু তার স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
২০১৬ সালের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফরিদপুরের যুবক মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুর সঙ্গে আমেরিকার নাগরিক ও নিউইয়র্কের বাসিন্দা ব্যাংকার মুসলিম নারী শ্যারনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের টানে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন শ্যারন। এরপর ২০ এপ্রিল ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে সিংকুকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কয়েক দিন পর শ্যারন আমেরিকায় ফিরে যান এবং সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যাবেন বলে কথা দিয়ে যান। বিয়ের কয়েক মাস পর তিনি কথা রক্ষায় ফরিদপুরে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিংকুকে আমেরিকায় নিয়ে যান শ্যারন। এখন সিংকু আমেরিকাতেই তার স্ত্রী শ্যারনের সঙ্গে থাকছেন।
সিংকুর বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক। তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানান, সিংকু পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সিংকু বড়। ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে আসা নারী শ্যারনকে বিয়ে করে এখন সিংকুকে নিয়ে বেশ ভালোই আছেন।
স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, সিংকু আমেরিকায় যাওয়ার পর শুনেছি তারা বেশ সুখেই আছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে টাকা পাঠায়। বাবা-মায়ের খোঁজখবরও নেয়। সিংকুর বাবা আমেরিকায় ছেলে-পুত্রবধূর কাছে বেড়াতে গেছেন। উৎস: যুগান্তর।