শিরোনাম
◈ সরকার কোনোভাবেই কাজ ছাড়া সময় পেতে পারে না: এনসিপি ◈ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয় সদস্য গ্রেফতার ◈ ‌‘এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক, ◈ কা‌র্ডিফ সি‌টির বিরু‌দ্ধে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ডের দুর্দান্ত জয় ◈ পা‌কিস্তান ক্রিকেট লি‌গে  সর্বোচ্চ উইকেটের ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি ◈ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ ‘আ.লীগের মিছিলের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা পেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ (ভিডিও) ◈ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি নিয়ে আবারও রাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ◈ ‘করোনাভাইরাস চীনের ল্যাবে তৈরি’ বলছে হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট  ◈ বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর হজে যাবেন ৮৭ হাজার জন, নেওয়া হচ্ছে যেসব ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও চড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার

অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ না বাড়ায় দাম এখনো চড়া। বিশেষ করে ঈদের পর গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম আরো বেড়েছে। অন্যদিকে, শীতের সবজির সরবরাহ কমতে শুরু করায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। মাছ, খাসি ও গরুর মাংস এবং মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে কয়েকমাস ধরে স্থিতিশীল থাকা পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।


শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো সেভাবে বাড়েনি। ফলে এধরনের সবজির দাম চড়া। বাজারে বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালীন সবজির কেজি ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল ১৪০-১৬০, ঝিঙ্গা ৯০-১০০ এবং কচুর ছড়া ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল, বেগুন, বরবটি, তিতা করলা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা, পেঁপে, চালকুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুসহ কয়েকটি সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। কেজিপ্রতি আলু ২৫, দেশি ছোট আলু ৪০-৫০, মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০, লাউ ৪০ ও কাঁচাকলা জোড়া ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দামও স্বস্তিদায়ক, বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। শীতকালীন  সবজির মধ্যে ফুলকপি তেমন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বাঁধাকপি কেজি ২০-২৫ এবং মূলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কমায় শিম, টমেটো, গাজর, মটরশুটিসহ শীতকালীন অন্য সবজিগুলোর দামও বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হওয়া টমেটো ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রায় ১০ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম কমে ডজন ৬০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শাকের মধ্যে পুঁইশাক, লাউশাক, কলমিসহ বিভিন্ন ধরনের শাক ১৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চড়ামূল্যে বিক্রি হওয়া গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  


এদিকে কয়েকমাস স্থিতিশীল থাকার পর বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারিতে সবধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে খুচরায়ও এর প্রভাব পড়েছে। খুচরায় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। তবে ভারতীয় আদার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা।


মুদিপণ্যের মধ্যে চালের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে কাটারিভোগ আতপ ২৫ কেজির বস্তা ২১৫০-২৩৫০ এবং পাইজাম আতপ ১৭৫০-১৮০০, নাজিরশাইল সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা ২২০০, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪২০০-৪২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ১২০, ছোট মসুর ডাল ১৩৫, মোটা মসুর ডাল ১১০, বড় মুগ ডাল ১৪০, ছোট মুগ ডাল ১৭০, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০, ডাবলি ৬০, খেসারি ডাল ১১০, বুটের ডাল ১২০, খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খোলা আটা গত সপ্তাহে ৩৮ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৪০-৪২ এবং প্যাকেট আটা ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা ময়দা ৬০ ও প্যাকেট ময়দা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


সরকার নির্ধারিত দরে বোতলের সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৯, বোতলের পাঁচ লিটার ৯২২-৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল ও খোলা পাম তেল ১৬৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল ১৯০ এবং বোতলের সরিষার তেল ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নির্ধারিত দরের চেয়ে বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।


মাংস ও ডিমের দাম স্থিতিশীল আছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় ১০-১৫ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১৮০-১৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮৫ টাকায়। সোনালী মুরগি ২৮০-৩০০, লেয়ার মুরগি ৩১০-৩৩০ এবং দেশি মুরগি ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০-৯৫০ এবং খাসির মাংস ১,১০০-১,২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। মুরগির ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন ১১৫-১২০ এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ২৩০-২৫০ এবং হাঁসের ডিম ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


এদিকে মাছের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে দেশি মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ১৮০-২২০, রুই ২৫০-৩৮০, কাতলা ২৫০-৪০০, মৃগেল ২০০-২৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, মাগুর ও শিং ৪৫০-৬৫০ এবং দেশি কই ৪৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি ৭০০-১২০০, মলা ৩৫০-৪৫০, বাইল্যা ৪০০-৫৫০, রিকশা ৪৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪৫০, কোরাল ৭০০-১০০০, টেংরা ৬০০- ৭০০ এবং বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়