আইরিন হক,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: রফতানি পণ্য পরিবহনে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পরও বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে বাণিজ্য। গত ০৮ এপ্রিল কার্গো বিমানে পণ্য জটের কারন দেখিয়ে আকাশ পথে ইটালি, ইউরোপ,আমেরিকা ও সিংগাপুরসহ কয়েকটি দেশে পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ বিমান বন্দর ও সমুদ্র পথে বিদেশে যাচ্ছে পণ্য। এছাড়া ভারত ভুখন্ড ব্যবহার করে পাশ্ববর্তী দেশ নেপাল,ভুটান ও মায়ানমারে স্বাভাবিক রয়েছে গার্মেন্টস শিল্পের রফতানি।
বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, একটি সময় ছিল কেবল বেনাপোল বন্দর দিয়ে কেবল আমদানি বাণিজ্যে গুরুত্ব ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে পেক্ষাপট এখন ভিন্ন। বাংলাদেশি পণ্যের গুনগত মান ভাল হওয়ায় আমদানি বাণিজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছিল রফতানি বাণিজ্য। এসব পণ্য কেবল ভারতে যেতনা ভারত ভুখন্ড ব্যবহার করে ট্রানজিট সুবিধায় রফতানিকৃত পণ্যের ৩৫ শতাংস যেত ভুটান,নেপাল,মায়ানমার এবং ০৫ শতাংস যেত বিমান বন্দর ব্যবহার করে ইউরোপ,আমেরিকা সিংগাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিমান পথে রফতানির সুযোগ কিছুটা অর্থ সাশ্রয় হতো ব্যবসায়ীদের। তবে হঠাৎ করে বিমান বন্দরে পণ্য জটের কারন দেখিয়ে গত ০৮ এপ্রিল ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রনালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেঘা বানচাল সাক্ষরিক পত্রে ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে বিভিন্ন বন্দরে চিঠি পাঠায়। ফলে এদিন থেকে বিমান বন্দর ব্যবহার করে বাইরের দেশে পণ্য রফতানির সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ফিরে যায় ঢাকা ইয়ারপোর্টে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার পর দেশের বিমার বন্দর ব্যবহার করে এখন রফতানি পণ্য সব যাচ্ছে বাইরের দেশে। এতে বিরুপ প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিকের পথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, মাত্র ৫ শতাংস পণ্য ভারতের বিমান বন্দর ব্যবহার করে রফতানি হতো বাইরের দেশে। বিমান বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হলেও ভারত ভুখন্ড ব্যবহার করে রফতানি পণ্য যাচ্ছে নেপাল,ভুটান, মায়ানমারে। বিমান সুবিধা বাতিলে রফতানি বানিজ্যে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।
রফতানি কারকের প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম জানান, ভারত ট্রানশিপমেন্ট বাতিলের পর বিমান ও সুমদ্র পথে রফতানি পণ্য যাচ্ছে বিদেশ। এখন দেশে কার্গো বিমান ও সমুদ্র পথে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে। এতে লোকশান পুশিয়ে যাবে
বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক(ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান,ট্রানশিপমেন্ট বাতিলের পরও রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। সবশেষ গতকাল বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৬৪ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের পর সবশেষ গতকাল ভারতে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা ছিল ১৫৩।