নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাংগর পাড়া এলাকায় এক রোহিঙ্গা নাগরিকের হাতে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড এবং ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশী পাসকোর্ট নিয়ে সৌদি আরব বসবাস রয়েছে খবর পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত রোহিঙ্গা নাগরিক ১২/১৪ বছর আগে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ডাংগর পাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এক পর্যায়ে উক্ত এলাকা থেকে বিয়ে করে বনে যান বাংলাদেশী নাগরিক। সেই মন্ডু শহরে এলাকার আবু শমার মাতা গোলবাহার বেগম এর ছেলে আবুল কালাম। বর্তমানে বাংলাদেশী আইডি কার্ডে পিতার মৃত আবদুল জলিল, মাতা মোস্তফা খাতুন।
এ অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ডাংগর পাড়া এলাকায় মিয়ানমার থেকে এসে কয়েক বছর পর বিয়ে করে বসেন স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে। সেই সুবাদে পরে ওই রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে পূর্বে পিতার মাতার নাম পাল্টিয়ে নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহকারীকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড পেয়ে যান। কীভাবে এই রোহিঙ্গা আবুল কালাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর এই রোহিঙ্গা আবুল কালামের এনআইডি কার্ড বাতিলের দাবি উঠেছে।
এব্যাপারে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গারা কীভাবে বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড হাতে পেলেন তা আমার জানা নেই। তবে আমি এসব রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশি এনআইডি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনারের কাছে।
এ দিকে অভিযুক্ত রোহিঙ্গা নাগরিক আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ না পাওয়া বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।