তপু সরকার হারুন : শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজার কাছে চরশেরপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিল আহমেদের চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চরশেরপুর তালেব আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সহস্রাধিক স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ নানা পেশার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে উত্তেজিত জনতা যুবদল নেতা শাকিলের ছবিতে ঝাড়ুপেটা করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরশেরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, ১নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি রুবেল মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মো. মুতাসিম বিল্লাহ, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব শাহনূর রহমান সায়েম, চরশেরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শামিম মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাকিল রানা প্রমুখ।
ওইসময় বক্তারা বলেন, চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু চাহিদামতো চাঁদা না দেয়ায় তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও শহরের কতিপয় চাঁদাবাজের মদদদাতারা চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে, যা হাস্যকর ব্যাপার। এসময় বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাকিল আহমেদ, সাধন, আলমগীর, ছামিদুল, মানিক ও সোহাগসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নিজেকে বিএনপি সমর্থিত দাবি করে বলেন, আমি নৌকার বিপরীতে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। সমস্যা হলো আমার ইউনিয়ন থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় সরকারি কর্মকান্ডে আমাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। সেই সব ছবি ব্যবহার করে আমাকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে। সরকার পতনের পর থেকেই আমার কাছে শাকিল গং চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু যে পরিমাণ চাঁদা দাবি করে তা কোনভাবেই দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও সরকারি কার্ড সব তারা একাই দাবি করে। আমি সব কার্ড তাদের হাতে তুলে দেইনি এটাই আমার অপরাধ।
তবে অভিযুক্ত চরশেরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শাকিল আহমেদ বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। চাঁদা দাবির প্রশ্নই উঠে না। আমি ইতোমধ্যে মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছি। উল্লেখ্য, এর আগে দুপুরে জেলা শহরের থানামোড়ে শহর যুবদলের আয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজার বিচার দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।