ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে : পাবনার ঈশ্বরদীতে আবারও সিএনজি স্ট্যান্ড দখল ও পূর্ব বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মনোয়ারুল ইসলাম (৪৫) নামের এক স্থানীয় বিএনপি নেতা।
রোববার দুপুরে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের এমএম স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনোয়ারুল ইসলামকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মনোয়ারুল ইসলাম দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা অভিযোগ করেন, তারা কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন ও তার ভাই রকিবুল ইসলাম রকুর নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিতে গুলি চালায়। গুলিতে মনোয়ারুল ইসলাম আহত হন।
তবে শরিফুল ইসলাম রিপন বলেন, তার ভাই রকুর সঙ্গে বিপুল মোল্লার লোকজনের মধ্যে সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রী তোলা নিয়ে ঝামেলা হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য তিনি উভয় পক্ষকে ডাকেন, কিন্তু বিপুলের লোকজনই রাতে এসে রকুর অফিস ভাঙচুর করে। গুলির বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এ বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ সুলভ মালিথা বলেন, কয়েক দিন আগে দুই সিএনজি চালকের ঝামেলা মীমাংসাকে কেন্দ্র করে রকু বিপুলকে মারধর করে। তার জেরে বিপুলের লোকজন রকুর অফিস ভাঙচুর করে। সেই ঘটনার রেশ ধরে রোববার হামলা ও গুলি চলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় এলাকায় সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়। তখনও বিএনপির এক নেতার অফিস ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু সিএনজি স্ট্যান্ডে এসে চাঁদা আদায় করতে চাইলে বিপুল মোল্লার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিপুল মোল্লা বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে ও সিএনজির দুই চালককে মারধর করে রকু ও তার লোকজন। তবে কারা রকুর অফিস ভেঙেছে, আমি জানি না, কারণ আমরা তখন হাসপাতালে ছিলাম।’
ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ‘গুলিবর্ষণ এবং একজন বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সবসময় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।’