জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ১৫ এপ্রিল থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে সব ধরনের মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বিগত বছরগুলোর চেয়ে সময়সীমা কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করায় খুশি জেলে সহ মৎস্য সংশ্লিষ্টরা।
ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরনের জন্য ২০১৫ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু জেলেরা দাবি করে আসছিল আমাদের দেশে যখন অবরোধ চলে তখন ভারতীয় জেলেরা আমাদের সীমানায় এসে মাছ ধরে । পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে মিল রেখে এই অবরোধ করার জন্য।কিন্তু ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় এ অবরোধের বিরোধিতা করে আসছিলো জেলেরা। তাই জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৪ এপ্রিল মধ্য রাত থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। অবরোধের সময়সীমা কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করায় খুশি জেলেরা।
ট্রলার মাঝি সামসু ব্যাপারী বলেন বিগত বছরগুলোর চেয়ে সময়সীমা কমিয়ে পুনর্বিন্যাস করায় আমরা খুশি। তবে অবরোধ কালীন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদেয় প্রনোদনার পরিমান বাড়ানো এবং নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই প্রনোদনা প্রদানের দাবী আমাদের।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ,এ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মাদ আলী,বলেন সরকারের এ যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী জেলেরা ব্যাপক উপকৃত হবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও চলছে।’তিনি আরও বলেন, মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে। আর অপরটি হলো- ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যার জন্য বর্তমানে বড় আকারের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।এবার আমাদের অবরোধ ফলপ্রসূ হবে।
পটুয়াখালী মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রতেক জেলেকে ৭৭ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। এছাড়া অবরোধ শতভাগ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতির সম্পন্ন করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত ৮১ হাজার থাকলেও এর মধ্যে সমুদ্রগামি জেলের সংখ্যা ৪৭ হাজার।