সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, লুটপাট ও ভাঙচুর, আহত-৩০
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্ততপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া উভয়পক্ষের ১০ টি দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে।
(৯ এপ্রিল) বুধবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী চলে তাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রুপ নেয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলছিল। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই মুনসুর মাতুব্বর। বুধবার বিকালে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক বালিয়া গ্রামের সবুর খানের উপর হামলা করে জাহিদ মাতুব্বরের সমর্থক ব্যাপারী বাড়ির লোকজন। পরে সন্ধ্যায় নুরু মাতুব্বরের সমর্থকরা জাহিদ মাতুব্বরের সমর্থক মামুনকে মারধর করে। এনিয়ে সন্ধ্যার পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কী-ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে রাত পৌনে ১০ টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জাহিদ মাতুব্বরের গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসররা। তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বুধবার বিকালে আমার সমর্থক বাজারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নুরু মাতুব্বরের ভাই মুনসুর মাতুব্বর বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর আওয়ামী লীগের লোক। বিগত দিনে ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। বুধবার বিকালে বালিয়া গ্রামের আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে ওরা। এছাড়া তার পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন।
(৯ এপ্রিল) বুধবার রাত ১০ টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।