লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের নারী-পুরুষসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বসুদুহিতা গ্রামের আন্ডার ঘর এলাকার কালির বাগো বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, আবুল হাসেম, আবু তাহের, আবুল কাশেম, মমতাজ বেগম, নিলুপা সুলতানা ও তাসমিনা জাহান কাছপিয়া। হামলাকারীরা হলেন, একই বাড়ির আবুল হোসেন, জাহিদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম, মো. মাসুদ, আবদুর শহীদ, বকুলী বেগম, কহিনুর বেগম, সাইমুন, আফসার, সারমিন ও খাদিজা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, আবুল হাসেম ও আবুল হোসেন সম্পর্কে চাচাতো জেঠাতো ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধে চলে আসছে। এর আগেও একাধিকবার তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ হয়। এনিয়ে আবুল হাসেমদের পক্ষে থানা সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আবুল হাসেমরা তাদের দখলীয় জমিতে থাকা পুরাতন ঘর নতুন করে মেরামত করতে গেলে আবুল হোসেনরা বাঁধা দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল হোসেম ও তার দুই সন্তান জাহিদ হোসেন এবং ইব্রাহিমসহ ১২-১৫ জন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে আবুল হাসেমদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আবুল কাশেমদের পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৭জন গুরুতর আহত হয়। আবুল কাশেমদের পরিবারের নারী-পুরুষ সকলে আহত হলে হামলাকারীরা তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে আহত আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে থাকা পুরাতন ঘর মেরামত করতে গেলে তাদেকে বাঁধা প্রদান করে আবুল হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন। এনিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের পরিবারের নারী-পুরুষসহ ৭জন গুরুতর আহত হয়। হামলাকারীরা তাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। তারা এই ঘটনায় প্রশাসনের নিকট বিচার দাবী করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তার পরেও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।