সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ছয়টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের। এতে ম্লান হয়েছে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সকালে সবাই ঈদের নামাজে ব্যস্ত ছিলেন। নামাজ শেষে জানতে পারেন আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে ধসে পড়েছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল জোয়ারের তোড়ে বাঁধের বাকি অংশ ভেঙে গিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।
এরই মধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনুলিয়াসহ আশপাশের আরও ছয়টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। ভেসে গেছে মৎস্য খামার। দ্রুততম সময়ে বাঁধ বাধতে না পারলে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জাগো নিউজকে বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। তবে পাউবোর লোকজন ছুটিতে আছেন। তারা ফেরার চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। উৎস: জাগোনিউজ২৪