শামীম মীর গৌরনদী প্রতিনিধি :বরিশালের গৌরনদী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু আবদুল্লাহ খানের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে গৌরনদী উপজেলাবাসী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ঘন্টা ব্যপি গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। মানববন্ধন ও সমাবেশে ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, নারী পুরুষসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ যোগদান করেন।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গৌরনদী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ্ আলম ফকির, চাঁদশী ঈশ্বরচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী আসাদুজ্জামান, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, দিয়াশুর ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আহমেদ, কসবা আবাসন প্রকল্পের গৃহিণী কাকলী খানম, ফাতেমা আক্তার রিনা বেগম আয়শা খাতুন, মরিয়ম বেগম-প্রমুখ।
কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারীরা জানান, নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আবু আবদুল্লাহ থান গত ২০২৩ সালের ২৪আগস্ট গৌরনদী উপজেলায় নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন সময়ে মেধাবী এই কর্মকর্তা নিজের কর্ম দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেনি। ৫ আগষ্টের পরে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা চালিয়ে গৌরনদীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং শুনামের সাথে তার সকল দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলা প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ, পৌরসভায় দায়িত্ব পালন এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদে থাকার কারণে ইউএনওদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু চাপ থাকলেও এ উপজেলার নাগরিক সেবার মান কমেনি। বরং আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আর সেটা ইউএনও আবু আবদুল্লাহ খানের ভূমিকায় গৌরনদীবাসী খুশি।সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন ইউএনও আবু আবদুল্লাহ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যের বিপণন কেন্দ্র ও কৃষি কর্নার স্থাপন করেন তিনি, যা বেশ প্রশংসা পায়। এ ছাড়া উপজেলা মডেল পাঠাগার, গৌরনদী ক্লাব অ্যান্ড সোসাইটি চালুকরণ, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রতিটি চালুকরণ, বিদ্যালয়ে ডিবেটিং ক্লাব, ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ক্লাব ও বিজ্ঞান ক্লাব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন|। ।
চাকুরীর বদলী জনিত কারনে বদলির আদেশ হওয়ায়, গৌরনদী উপজেলা সর্বস্তরের জনতা বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চত্তরে এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।
এসব বিষয়ে ইউএনও আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। যেখানেই চাকরি করেছি, সবসময় নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যেদিন এখানে যোগদান করেছি, সেদিনই বলেছি এ উপজেলা আমার। যতদিন আছি এভাবে সেবা দিয়ে যেতে চাই। সবার সহযোগিতায় গৌরনদীকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।