নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার স্বাক্ষী দিতে গিয়ে স্থানীয় যুবদল নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েছেন সুধারাম মডেল থানার সাবেক এসআই লিটন দত্ত। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এসআইকে উদ্ধার করে। রোববার দুপুরে জেলা শহরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্তরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় এসআই লিটন দত্তকে ঘিরে যুবদল নেতাকর্মীরা চড়াও হতে দেখা গেছে।
নোয়াখালী শহর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল খায়ের সোহেল ও কাদির হানিফ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ বাহাদুর অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময় ২০১৮ সালে লিটন দত্ত নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় জেলা সদরের এওজবালিয়া ইউনিয়নে একটি মাডার মামলাসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় লিটন দত্ত আমরাসহ আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীকে জড়িয়ে দেয়। অথচ ওই ঘটনায় আমরা জড়িত থাকা তো দুরের কথা, এজহারে আমাদের নামও ছিল না। কিন্তু লিটন দত্ত আমাদেরকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নিয়েও লিটন দত্ত আমাদেরকে শান্তি দিত না, তার ভয়ে আমরা ঘরে ঘুমাতে পারতাম না, শুধু হয়রানি আর হয়রানি।
ভুক্তভোগী যুবদল নেতারা বলেন, আজ রোববার লিটন দত্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাদের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে আসবে খবর পেলে সকাল থেকে আদালত চত্তরে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এসময় আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নেওয়া টাকা এবং আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলার কি হবে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাকে নিয়ে যায়। সরকারের একজন কর্মচারী হয়েও জনগনের ওপর হয়রানিমূলক দমন-পিড়ন চালানোয় এসআই লিটন দত্তের বিচার দাবি করেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ওই সময় (আওয়ামী লীগ সরকারের আমল) যুবদলের নেতাকর্মীদের এরেস্ট করার কারণে তাঁর ওপর ওদের ক্ষোভ ছিল। যার কারণে যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাঁকে ঘিরে ধরলে আমি বিষয়টি কন্টোল করি। বর্তমানে এসআই লিটন দত্ত তার কর্মস্থলে চলে গেছে।