শিরোনাম

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:২৬ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাস থেকে সব যাত্রীকে নামিয়ে ঘুমিয়ে থাকা নারীকে ধর্ষণচেষ্টা, অতপর...

গাজীপুরের কোনাবাড়ী, বাইপাইল এলাকায় আজমেরি গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকা থেকে পুলিশ বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টরকে আটক করেছে। খবর: নিউজ২৪

আটকরা হলো, গাজীপুর মহানগরের এনায়েতপুর গ্রামের মো. নাইম মিয়ার ছেলে শাহেদ আলী (১৯) ও  টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার পাঁচটেকি গ্রামের মো. খাইরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (১৭)।

ওই নারী যাত্রীর স্বজনরা জানান, গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং বাসস্টেশন থেকে আজমেরি গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে কোনাবাড়ী নিজ বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে ওঠেন।

বাসে থাকা অন্য যাত্রীরা নেমে নিজ গন্তব্যে চলে গেলেও ওই নারী যাত্রী বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় বাসেই রয়ে যান।

এসময় ওই যাত্রীবাহী বাসে চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপার আর এক নারী যাত্রী ছিলেন। বাসটি রাত নয়টার দিকে বাইপাইল এলাকায় এসে একটি নির্জন স্থানে থামিয়ে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চালক বাচ্ছু মিয়া ও শাকিল।

পরে গাজীপুর বাইপাস এলাকা থেকে হেলপার শাহেদ আলীকে বাসটি চালিয়ে চন্দ্রা যাওয়ার জন্য বললে শাহেদ বাসটি ধীরে ধীরে চন্দ্রার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। এসময় বাস চালক নারী যাত্রীর শরীরে স্পর্শ করে। এতে নারী যাত্রী চিৎকার করলে নারী যাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় তারা।

এঘটনায় নারী যাত্রীর স্বজনরা চন্দ্রা এলাকায় গিয়ে বাস, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে শনাক্ত করে আটক করেন।

এসময় স্থানীয় জনতা হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে হাত-পা বেঁধে বাসের ভেতর রাখে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী থানা-পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেন, মামলার বাদী উত্তরা থেকে বাসে ওঠে নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই  বাসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকল যাত্রী নেমে গেলে বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও হেলপার মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির ডাক চিৎকার করলে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটির সামনে একে অপরের নাম ধরে ডাকছিলেন সেই সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা হয়েছে মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং দুইজনকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়