মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে:ঢাকার ধামরাইয়ে মাটির ব্যবসায় অধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দিবালোকে গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
গতকাল দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন পুলিশ। এর আগে (২০মার্চ) বেলা ১২টার দিকে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামের হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৫ জনের নাম অজ্ঞাত দিয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন, মোঃ আব্দুল জলিল, মোঃ আব্দুল বাছেদ, মোঃ আবু সাইম মোল্লা, মোঃ আব্দুল গফুর, মোঃ আলী হোসেন।তারা সাবায় গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসাগ্রামের বাসিন্দা।নিহত আবুল কাশেম ধামরাই উপজেলা গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামের মৃত রহিজউদ্দিন মাষ্টারের ছেলে।তিনি গাংগু টিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, মাটির ব্যবসায় অধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে গেল দুই সপ্তাহ আগে জালসা গ্রামের দক্ষিণ এলাকায় মাটির লিকে আবুল কাশেম এবং বাবুল পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ঐ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হন।
কাশেমের স্বজনরা জানান, কাশেম বৃস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে দোকানে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ীর পাশে আহমদ এর ইটভাটা কাছে আবুল কাশেমকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কাশেমকে উদ্ধার করে প্রথমে কাওয়ালীপাড়া ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তারা ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। পরে ঢাকা যাওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে। সেখানে কাশেম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
এই বিষয়ে নিহতের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হামলাকারীদের নাম বলেগেছে। তারা হলেন, গাংগুটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল হোসেন ও তার ভাই মোঃ বিল্টু, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগের সভাপতি মোঃ সাইম মোল্লা ও তার ভাই আহাদ এবং মোঃ মালেক। জালসা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিল, মোঃ বাছেদ, মোঃ গফুর ও আলী হোসেনসহ আরও কয়েকজন ছিল বলে জানান।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সকালে আসামীদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে।এই দিকে কাশেম হত্যার জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।