বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আপন ছোট বোনকে (১৫) দুই মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সুজন মন্ডল (২২) নামে ভুক্তভোগীর বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুজনের বাবা রঞ্জু মন্ডল প্রায় ১৩ বছর আগে মারা গেছেন।
এরপর থেকে সুজন তার মা, নানি ও বোনকে (১৫) নিয়ে আশ্রয়ণ পল্লীর সরকারি ঘরে বসবাস করেন। তারা একই ঘরে ঘুমাতেন। এ অবস্থায় প্রায় ৪ মাস আগে সুজন তার বোনকে পাশের গ্রামে বিয়ে দেন। কিন্তু স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় মাস দুয়েক আগে ভুক্তভোগী ওই নারী ভাইয়ের আশ্রয়ণের বাড়িতে ফিরে আসেন।
সেই থেকে ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি।
এদিকে জীবিকার তাগিদে ওই নারীর মা শেরপুর উপজেলা শহরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন এবং শহরেই অবস্থান করেন। সুজন তার বোন ও নানিকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। প্রতিরাতে একই বিছানায় ঘুমানোর সুযোগে প্রায় ২ মাস ধরে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আপন বোনকে ধর্ষণ করে আসছেন তিনি।
কিন্তু ভুক্তভোগী ওই নারী ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে বললেও তিনি প্রথমে তা বিশ্বাস করেননি।
ভুক্তভোগী নারী জানান, গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় সুজন তাকে একই কৌশলে ধর্ষণ করেন। বড় ভাইয়ের যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে লোকজনের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করেন। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে তার মা বাদি হয়ে একমাত্র ছেলে সুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বগুড়া আদালতে এবং শারীরিক পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ উৎস: কালের কণ্ঠ।