কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নে ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জায়ামাতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজার সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতের ৮ জন ও বিএনপির ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ইউনিয়নে টহলরত আছে।
আহত ৮ জামায়াতের মধ্যে ১জন কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, ৩ জন ফেনী হাসপাতালে এবং ৪ চারজনকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আহত ৫ জনকে জামায়াত কর্মীরা বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে জানায় স্থানীয় বিএনপি। পরে সেনাবাহিনীর টহল দল গিয়ে অবরুদ্ধ আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে ১ জনকে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৪ জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামায়াতের মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর (৩৪) নামে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) একটি ফেসবুক পোস্ট করে বিএনপি সমর্থিত হৃদয় (১৮) নামের এক কিশোর। সেই ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে রোববার (১৬ মার্চ) প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সোমবার রাতে মারামারির বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে দুপক্ষের ৩০০-৪০০ জন মানুষ জড়ো হয়। সেখানে মীমাংসার পরিবর্তে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় জামায়াত কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের ৮-১০ টি বাড়ি ভাঙচুর করে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষ থেকে কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। উৎস: কালবেলা।