হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : নারী ও শিশু ধর্ষণ সহিংসতা: বিচার চাই, নির্মূল কর'- এই শ্লোগানে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন হয়েছে।
ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) মানবন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে ইয়্যুথ এনগেজ এন্ড সাপোর্ট গ্রুপ (ইয়েস), অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি)-এর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
সনাক সভাপতি শিপ্রা রায় নারীর প্রতি সহিংসতাকে ব্যক্তিগত ইস্যু মনে না করে সামাজিক ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহবান করেন। তিনি সাম্প্রতিককালে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা যে আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে সহজে জামিন পাচ্ছে, এতে করে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থাহীনতা তৈরী হচ্ছে, তা দূর করতে হবে। তিনি ধর্ষণকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফরিদপুর সনাক সহ-সভাপতি পান্না বালা বলেন, আমরা একটা অস্থির সময় পার করছি, নারীর প্রতি নির্যাতন মানে দূর্বলের প্রতি সবলের আগ্রাসন। এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তিনি সাম্প্রতিককালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নির্যাতনকারীকে যেভাবে বরণ করে নিয়েছে তার নিন্দা জানান।
বক্তব্য রাখেন ইয়েস সদস্য মুন্নী সুলতানা ও জাহিদ হোসেন শান্ত। তারা তাদের বক্তব্যে নারীদের প্রতি যে নির্যাতন ও সহিংসতা তার প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা নারীর প্রতি সংহিংসতা বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য রমেন্দ্রনাথ রায় কর্মকার। তিনি তার বক্তব্যে নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আলামত যাতে নষ্ট না হয়, নির্যাতনকারীর যাতে দ্রুত বিচার হয় এই দাবি জানান।
সনাক সদস্য রেজাউল করিম নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়নে সনাক, ইয়েস, এসিজি ও টিআইবি‘র ১১ টি দাবির উল্লেখ করেন । এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সকল ক্ষেত্রে ও পর্যায়ে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার ও বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা‘, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রসহ সকল পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে নারীর নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা’, এবং ‘সকল রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠন, পেশাজীবী সংস্থা, সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নারী পুরুষের সমঅধিকার ও সমমর্যাদার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ঘোষণাসহ চর্চা প্রতিষ্ঠার সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া।’