লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক গ্রামপুলিশের স্ত্রীকে ধ.র্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সময় সেই নারী ওই লোকের গো.পনা.ঙ্গ কেটে দেন বলে জানা যায়। গতকাল শনিবার রাতে রায়পুর উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে ওই নারীর স্বামী থানায় মামলার প্রস্তুতি নেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী প্রতি রাতের মতো শনিবারও দায়িত্ব পালন করতে যান। এ সুযোগে লোকটি ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী এই নারীকে ধ.র্ষণের চেষ্টা করে। তখন তিনি তাঁর কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গের কিছু অংশ কেটে দেন। এতে লোকটি আহত হয়ে পালিয়ে যায়।
ধ.র্ষণচেষ্টার শিকার ওই গৃহবধু জানান, তাঁরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন। লোকটি অনেক দিন ধরে তাঁকে ‘কুপ্রস্তাব’ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি তিনি তাঁর স্বামী ও স্বজনকে জানালে কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করেনি। এ কারণে তিনি আত্মরক্ষার জন্য নিজের কাছে সবসময় একটি ব্লেড রাখতেন। সেই ব্লেড দিয়েই ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গ আংশিক কেটেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লোকটি বলেন, গ্রামপুলিশের দায়িত্বে থাকা ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুই বছর আগে ভুক্তভোগীর স্বামী তাঁকে মারধর করে। এর জেরে শনিবার রাতে তাঁদের ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই অচেনা লোক ঘরে ঢুকিয়ে গোপনাঙ্গের আংশিক কেটেছেন। ভুক্তভোগীর স্বামী আওয়ামী লীগ সমর্থিত বলেও জানান তিনি।
রায়পুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বাহারুল আলম বলেন, ‘আহত লোকটির গোপনাঙ্গের ২০ শতাংশ কাটা গেছে। সে এখন শঙ্কামুক্ত।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।