শিরোনাম
◈ আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ কৌশলে রাতে ঘরে ঢুকে চার বছরের শিশুকে জিম্মি করে মাকে ধর্ষণচেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত ◈ সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম ◈ যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারেও ১০ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্য সহায়তা বন্ধ হচ্ছে ◈ ঢাবির নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির কুকীর্তি নিয়ে সাবেক নেতার পোস্ট ভাইরাল ◈ মহাকাশচারীরা কত টাকা আয় করেন, যা জানাগেল ◈ যে কারণে স্টারবাকস ৬০৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ডেলিভারি ম্যানকে! ◈ প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে প্রক্সির বিকল্প নেই: ইসি সানাউল্লাহ (ভিডিও) ◈ ‘ধর্ষণ’ শব্দ নিয়ে আপত্তি, সমালোচনার মুখে ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বকশিশ না পেয়ে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ, চমেক হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু

চট্টগ্রাম মেডিকলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বকশিশ না পেয়ে আয়া অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই নবজাতকের বাবা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালি ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন। 

নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ, বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেনের পানির সরবরাহ বন্ধ করে রাখার কারণে শিশুটি মারা গেছে। এর আগেও শিশুটি খেলা করছিল। এ ঘটনার পর ওই আয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডবয় ও আয়াদের বিরুদ্ধে বকশিশ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, তারা প্রয়োজনীয় সেবা পেতে টাকা দিতে বাধ্য হন।  

শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত দিন আগে চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে ওই নবজাতকের জন্ম হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ৯ মার্চ চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। গতকাল সকাল ১০টার দিকে শিশুটি স্বাভাবিক আচরণ করছিল এবং খেলা করছিল। একপর্যায়ে অক্সিজেনের পানি শেষ হয়ে গেলে নবজাতকের বাবা বেলাল ওয়ার্ডের আয়াকে নতুন পানি দিতে বলেন। অভিযোগ উঠেছে, বকশিশ না দেওয়ায় ওয়ার্ডবয় অক্সিজেনের পানি সরবরাহ বন্ধ রাখেন। এরপর শিশুটির বাবা-মাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কথা বলে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করানো হয়। পরে যখন তারা প্রবেশের অনুমতি পান, তখন দেখেন শিশুটি মারা গেছে।

শিশুটির বাবা বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার অক্সিজেন লাগানোর  জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়া হয়। কিন্তু আজ টাকা না দেওয়ায় আমার সন্তানের জীবন চলে গেল। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনা শোনার পর ওয়ার্ড থেকে ওই আয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে বিভাগীয় প্রধানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কোনো ওয়ার্ডবয় বা আয়া যদি এ ঘটনায় জড়িত থাকেন, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়