শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৯ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওসি বদলির খবরে থানায় পাওনাদারের ভিড়!

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদের হঠাৎ অন্যত্র বদলির খবর শুনে বিভিন্ন ধরনের পাওনাদাররা থানায় গিয়ে ভিড় জমান; কিন্তু ওসিকে থানায় না পেয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।

অন্যদিকে ওসি থানা ত্যাগের রাতেই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ওসি মো. ফরিদ আহমেদ গত ২৬ সেপ্টেম্বর নান্দাইল মডেল থানায় যোগদান করেন। এরপর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়েছেন। নান্দাইলে চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতির মতো নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে তিনি অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ থেকে তিনটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও লাভ করেছেন। তবে নান্দাইলের বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না তিনি।

অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওসি বদলির খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবকিছু গুছিয়ে শুক্রবার ভোরে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন তিনি। এদিকে দুপুরে বেশ কয়েকজন পাওনাদার থানায় এসে ওসিকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। পাওনাদারদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকানদার, ব্যবসায়ী ও এমনকি অনেক অভিযোগকারী।

পৌর বাজারের ইসহাক মার্কেটের মো. মোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, বিভিন্ন ধরনের পোশাক ক্রয়বাবদ তিনি ওসির কাছে প্রায় লাখ টাকার ওপরে পাবেন।

ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী ফরহাদ জানান, তার দোকানে প্রায় ১১ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া নামপ্রকাশ না করার শর্তে পাঁচজন জানান, শেষ মুহূর্তে পাঁচটি মামলা রেকর্ডভুক্ত করার নামে তাদের কাছ থেকে ৭৮ হাজার টাকা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ওসি ফরিদ আহমেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। সূত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়